MAFIMUSHKILL

সৌদি তে নির্যাতনের শিকার মালা এখন দেশে ফিরতে চায়।


  • সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন মালা খাতুন নামে ঝিনাইদহের এক গৃহবধূ। তিনি এখন বাড়ি ফিরে আসতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন। এ জন্য তার স্বামী এক দালালকে টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু দালাল টাকা নিয়ে আর যোগাযোগ করছে না। এ অবস্থায় মোবাইল ফোনে সৌদি আরব থেকে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন নির্যাতিত গৃহবধূ মালা খাতুন। ঝিনাইদহের সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের মোশারেফ হোসেনের স্ত্রী মালা খাতুন গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে প্রায় ১৫ মাস আগে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। মালাকে সৌদিতে নিয়ে যান আল-আবলুম এন্টারন্যাশনাল এজেন্সির মালিক আব্দুল আজিজ। তার বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়। 

  • সৌদি প্রবাসী চুয়াডাঙ্গার আব্দুর রশিদ নামে এক দালাল মালাকে আল-আবলুম এন্টারন্যাশনাল এজেন্সির মাধ্যমে নিয়ে যায়। মালার স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর তার ওপর নেমে আসে অত্যাচার ও পাশবিক নির্যাতন। কাজের নামে বিভিন্ন বাসায় ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ানো হচ্ছে। এহাত থেকে ওহাতে বদল হচ্ছেন মালা খাতুন। দালালদের কথা না শুনলে চালানো হচ্ছে নির্যাতন। বিশ্বের বুকে জাহান্নামের দরজা জীবনের সেরা সময় কাটেনি স্ত্রীর সাথে, তাহলে কেটেছে কার সাথে? (ভিডিওটি না দেখলে চরম মিস) মোবাইল ফোনে নির্যাতিত মালার বুকফাঁটা আর্তনাদ শুনেও কিছু করতে পারছেন না তার স্বামী মোশাররফ হোসেন। এদিকে মালাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বর্তমানে সৌদি প্রবাসী চুয়াডাঙ্গার রশিদ দালালের ছোট ভাই সজলের কাছে মোটা অংকের টাকা দেয়া হয়েছে। সজল চুয়াডাঙ্গা কৃষি ব্যাংকে চাকরি করেন। টাকা নেয়ার পর সজলকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্বামী মোশাররফ হোসেন জানান। মালা তার স্বামীকে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তার ওপরে মানসিক ও পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের ফলে তার শরীর এখন দুর্বল। হাটা চলাও করতে পারেন না। কাজ করার মত শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন মালা। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে না আনলে আত্মহত্যা করা ছাড়া তার কোন উপায় থাকবে না বলে মালা তার স্বামীকে জানিয়েছেন। মালা খাতুন এখন সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের আল কাসিম রোডের হুরাইভিলা নামক স্থানে রয়েছেন। তাকে ঠিকমতো খাবার দেয়া হয় না।। এ বিষয়ে আল-আবলুম এন্টারন্যাশনাল এজেন্সির মালিক আব্দুল আজিজ জানান, মালার স্বামীকে বারবার ঢাকায় আসতে বলছি, কিন্তু তিনি আসছেন না। ঢাকায় আসলেই আলোচনা করে তার স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে আব্দুল আজিজ জানান। এদিকে মালার স্বামী মোশাররফ হোসেন জানান, ঢাকায় গেলে তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা হতে পারে বলে তিনি ভয়ে যাচ্ছেন না। এর আগে পোতাহাটি গ্রামের এক গৃহবধূকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার ওপরও একইভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। বাদপুকুর গ্রামের মতি দালাল পোতাহাটির ওই গৃহবধূকে সৌদি আরবে নিয়ে যায়। মতির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের একাধিক মামলা আছে। 

  • মতি দালাল এখন পলাতক রয়েছে। রিনা খাতুন নামে এক যুবতী জানান, সৌদিতে যাওয়ার পর তার ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। তিন মাস থাকার পর রিনা দেশে ফিরে আসেন। সেখানে ২৫ দিন রিনা অভুক্ত ছিলেন। রিনার ওপরও পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এদিকে মালা খাতুনের স্বামী মোশাররফ তার নাবালক দুই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে মালাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। মায়ের এই দুরবস্থার কথা শুনে মালার দুই সন্তানও সর্বক্ষণ কান্নাকাটি করছে। বিষয়টি নিয়ে সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল মামুন জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। মেয়েটিকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 
  • সুত্রঃ নিউজ জুম বাংলা। 

No comments

Theme images by Roofoo. Powered by Blogger.